শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :: সামরিক বাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের অন্তত ৮টি প্রদেশে। বিক্ষোভের জেরে এরই মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন। সারা দেশে ১২ টির মতো ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। টানা তিন দিন ধরে চলা আন্দোলনের পর অবশেষে আজ শনিবার নিয়ম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ভারত সরকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) এবং আসাম রাইফেলসে ‘অগ্নিবীরদের’ জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকবার। এ ছাড়া আধাসামরিক এ দুটি বাহিনীতে নিয়োগের বয়সসীমাও ৩ বছর শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরেরা ৫ বছর পর্যন্ত বয়সসীমার ছাড় পাবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএপিএফে ‘অগ্নিবীরদের’ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—এমন ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পর এই নতুন ঘোষণা এল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন সামরিক নিয়োগ প্রকল্পের বয়সসীমা এরই মধ্যে একবার পরিবর্তন করে ২১ থেকে ২৩ বছর করেছে। যেহেতু গত দুই বছরে কোনো নিয়োগ হয়নি, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচটি শাখায় ৭৩ হাজারেরও বেশি পদ খালি রয়েছে। বাহিনীগুলো হচ্ছে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), ইন্দো তিব্বত বর্ডার পুলিশ (আইপিবিপি), শাস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)।
এর পাশাপাশি সিএপিএফ এবং আসাম রাইফেলসে পদ খালি রয়েছে ৭৩ হাজার ২১৯টি এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের পুলিশ বাহিনীতে পদ খালি রয়েছে ১৮ হাজার ১২৪ টি।
এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সেনাপ্রধান আশ্বাস দিলেও আন্দোলন থামেনি, বরং অগ্নিপথ আন্দোলন ভারত সরকারের বড় ধরনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা নতুন নিয়োগ প্রকল্পের পরিবর্তনে সন্তুষ্ট নন। বিশেষ করে পরিষেবার দৈর্ঘ্য এবং যারা দ্রুত অবসরে যাবেন, তাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা নেই।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে সৈন্য নিয়োগের জন্য ভারত সরকার গত মঙ্গলবারে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘোষণা করেছে।